Your cart is currently empty!
আল-মাও’ইজাতুল হাসানাহ যুগোপযোগী খুতবা সংকলন(হার্ডকভার)
1,200 ৳
Description
মহান আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা হলো ইসলাম। উক্ত দ্বীনে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পারলৌকিক জীবনে মুক্তির পথ দেখাতে জুমু’আর খুতবার গুরুত্ব ও অবদান অপরিসীম। পবিত্র-উন্নত ভবিষ্যত তৈরীর পথ ও পাথেয় হচ্ছে খতিবের খুতব্য। ঈমান, আমল, শিক্ষা-দীক্ষায় নিজের জীবন সুশোভিত ও পরিমার্জিত করার ক্ষেত্রে এবং আত্মশুদ্ধির ময়দানে মিম্বারের বয়ান যেনো এক নির্যাস যাদুমন্ত্র। বিশিষ্ট সাহাবী ইরবাহু ইবন সারিয়া রা. রাসুলুল্লাহ স. এর একটি হাদিস বর্ণনাপূর্বক বলেন:
وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ
‘রাসূলুল্লাহ স. আমাদেরকে এমন এক উচ্চাঙ্গের বয়ান পেশ করলেন যে, তা শুনে চক্ষু থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগলো, আর কেঁপে উঠলো অন্তর’। (সুনান আত-তিরমিযি-২৬৭৬ ইফা)
রাসূলুল্লাহ স. মদীনা মুনাওয়ারায় হিজরতের সময় ‘কুবা’ মহল্লা হতে মদীনার কেন্দ্রভূমিতে পদার্পনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে বানু সালেম মহল্লায় পৌঁছার পর জুমু’আর নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেল। তিনি সেখানেই জুমু’আর সালাত কায়েম করলেন এবং এটিই ছিল ইসলামের সর্বপ্রথম জুমু’আর সালাত। আর সেই খুতবাই ছিল জুমু’আর প্রথম খুতবা ও সালাতের প্রথম খুতবা। এরই আওয়াজ ইমামের খুতবায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দেড় হাজার বছর ধরে।
খুতবা এমন হতে হবে যাতে সমসাময়িক অবস্থা ও করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকে এবং যা হতে হবে হৃদয়গ্রাহী। রাসূলুল্লাহ স. ইসলাম ও মুসলিম রাষ্ট্রের ইমাম হয়ে সারা জীবন ইমামাতের মহাদায়িত্ব পালন করেছেন; খুতবা প্রদান করেছেন। তিনি খুতবার সময় হাতে লাঠি ব্যবহার করেছেন, এর তাৎপর্য তো এটাই ছিল যে, উক্ত ভাষণের গুরুত্ব, ভাব-গাম্ভীর্য ও প্রভাব দেশ ও জাতি যাতে অনুধাবন করতে পারে। সঙ্গত কারণেই মিম্বারের উপদেশবাণী অবমূল্যায়ন করার কোনো অবকাশ ইসলামে নেই।
রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন, ইমাম যখন (খুতবা পেশ করার জন্য) মিম্বারে উপবিষ্ট হন, তখন কোনো সালাত নেই; কোনরূপ কথা-বার্তা নেই। (মুসান্নাফে ইবন আবি শাইবা; সহিহ ইবন হিব্বান) উক্ত হাদিস দ্বারা খুতবার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সন্দেহাতীতভাবে অনুধাবন করা যায়। মনে রাখতে হবে, ইমাম/খতিব মহোদয় নিঃসন্দেহে জাতির আয়না। এতে শ্রোতাবৃন্দ নিজের জীবন ও কর্ম তুলনা করতে পারেন; একই সাথে নিজেকে সংশোধন করে নিতে পারেন। ইমাম একজন দা’ঈ। দ্বীনের সতর্কীকরণ, বার্তাবাহক, উপদেশদাতা, সঠিক পথনির্দেশক, কাওম ও মিল্লাতের একনিষ্ঠ খাদেম বা সেবক হিসেবে নিজেকে মনে করেই মিম্বারে উপবিষ্ট হয়েছেন। তিনি অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া, বর্তমানকে গড়া ও আগামী দিনের লক্ষ্যে কিছু রেখে যাওয়ার জন্য বয়ান পেশ করেন সমবেত জনতার সামনে। মুসল্লিবৃন্দ ইমামের কাছ থেকে নসীহতপূর্ণ বিষয়াবলী জানতে ও তদনুযায়ি মেনে চলতে অধীর আগ্রহ নিয়ে খতিবের দিকে তাকিয়ে থাকেন। মসজিদ একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালারই ইবাদাতের জন্য নির্মিত বিধায় উপস্থিত সকলকে মহান রব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের ধারণা নিয়েই সেখানে উপস্থিত হতে হয়।
Reviews
There are no reviews yet.